শৈশবের দিনগুলো হয় স্বপ্নের মতো, যেখানে আনন্দ আর নির্ভেজাল খুশির কোনো শেষ থাকে না। ভ্রমণ শুধু স্থান বদল নয়, এটা মন এবং মনের দিগন্ত প্রসারিত করার এক অসীম সুযোগ। আমার স্কুল হলো শিক্ষার একটি আশ্রয়, যেখানে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং স্বপ্নগুলো উড়ান দেয | শৈশবের দিনগুলো হয় স্বপ্নের মতো, যেখানে আনন্দ আর নির্ভেজাল খুশির কোনো শেষ থাকে না। ভ্রমণ শুধু স্থান বদল নয়, এটা মন এবং মনের দিগন্ত প্রসারিত করার এক অসীম সুযোগ। আমার স্কুল হলো শিক্ষার একটি আশ্রয়, যেখানে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং স্বপ্নগুলো উড়ান দেয | শৈশবের দিনগুলো হয় স্বপ্নের মতো, যেখানে আনন্দ আর নির্ভেজাল খুশির কোনো শেষ থাকে না। ভ্রমণ শুধু স্থান বদল নয়, এটা মন এবং মনের দিগন্ত প্রসারিত করার এক অসীম সুযোগ। আমার স্কুল হলো শিক্ষার একটি আশ্রয়, যেখানে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং স্বপ্নগুলো উড়ান দেয |

টাংগুরার হাওয়ে আমার ছবি তোলার অভিজ্ঞতা

টাংগুয়ার হাওর—যার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ জলাভূমি, হিমেল হাওয়া, আর নানা রঙের পাখির ঝাঁক। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার এই জায়গাটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গ। কিন্তু শুধু পর্যটক হিসেবেই নয়, একজন ফটোগ্রাফার হিসেবে টাংগুয়ার হাওরের সৌন্দর্য ক্যামেরায় বন্দি করার অভিজ্ঞতা সত্যিই অবিস্মরণীয়।

হাওরের পথে প্রথম দেখা

যাত্রা শুরু হয়েছিল নৌকা দিয়ে। যখন প্রথমবার টাংগুয়ার বিশাল জলরাশি চোখে পড়ে, মনে হয় যেন অন্য জগতে এসে পৌঁছেছি। চারদিকে শুধু পানি আর পানি, যেখানে নীল আকাশ মিশেছে জলরাশির সঙ্গে। ক্যামেরা বের করার আগেই এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটিকে কয়েক মুহূর্ত শুধু উপভোগ করেছিলাম।

আলো আর ছায়ার খেলা

প্রকৃতির আলো-ছায়ার খেলা টাংগুয়ার হাওরের অন্যতম আকর্ষণ। দিনের বিভিন্ন সময়ে আলোর রং পাল্টে যায়, আর সেই রঙে প্রতিফলিত হয় হাওরের পানি। সকালের নরম আলো থেকে দুপুরের উজ্জ্বল রোদ, বিকেলের মেঘলা আবহাওয়া, সব কিছুই আলাদা আলাদা আবেশ তৈরি করে। এসব মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরে রাখার জন্য প্রতিটি ক্লিকে ভিন্নতার ছোঁয়া আনার চেষ্টা করেছিলাম।

পাখিদের উড়াউড়ি

টাংগুয়ার হাওর একাধিক প্রজাতির পাখির নিবাস। বিশেষত শীতের সময়, হাওরের মধ্যে নানা রঙের পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। ক্যামেরার লেন্স যখন পাখির ঝাঁকের দিকে ধরা হয়, তখন প্রতিটি শট যেন একটি ভিন্ন গল্প বলে। কখনো তারা দল বেঁধে উড়ে যায়, কখনো একসঙ্গে পানির উপরে নামার দৃশ্য ফ্রেমে ধরে রাখতে পারা এক অপূর্ব অনুভূতি।

হাওরের মানুষের জীবন

টাংগুয়ার হাওরে স্থানীয় মানুষদের জীবনও ক্যামেরায় ধরা পড়ার মতো। তারা দিন-রাত হাওরের সাথে মিশে থাকেন। কখনো নৌকায় বসে জাল ফেলা, কখনো মাছ ধরা বা নানা কাজে ব্যস্ত তাদের জীবন যেন হাওরেরই প্রতিচ্ছবি। ছবিতে এসব দৃশ্য ধরে রাখতে পারাটা একটি ভিন্ন আবেগ সৃষ্টি করে।

সূর্যাস্তের মায়াবী আলো

শেষ বিকেলের সূর্যাস্ত হাওরকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে। যখন সূর্য ধীরে ধীরে ডুবে যায়, তখন হাওরের পানি যেন লালচে-সোনালি রঙে রাঙা হয়ে ওঠে। এই সময় ক্যামেরায় প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক মায়াবী জগৎ তৈরি করে। সূর্যাস্তের আলোতে নৌকাগুলো আর মানুষজন যেন কেবল ছায়ামূর্তি হয়ে ফ্রেমে ধরা দেয়।

প্রস্থান ও স্মৃতি

ফটোগ্রাফি শেষে হাওরের জগৎ ছেড়ে চলে আসা সহজ ছিল না। ক্যামেরায় ধরা প্রতিটি ছবি যেন এক একটি মুহূর্তের গল্প হয়ে রয়ে যায়। টাংগুয়ার হাওরের এই স্মৃতিগুলো শুধু ছবি নয়, বরং মনের এক চিরস্থায়ী অভিজ্ঞতা হয়ে থেকে যাবে।

Share this post :

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top

জোনাকি

একটি শিশুতোষ পোর্টাল